Brahmi-ব্রাহ্মী গুঁড়া
ব্রাহ্মী শাক মস্তিষ্কের স্মরণশক্তি বাড়ানোর কারনে শিক্ষার্থীদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রের সেই জন্ম লগ্ন থেকেই এই শাকটির ব্যবহার হয়ে আসছে। ব্রাক্ষ্মী পাতাকে চা, পাতা হিসেবে কিংবা অন্য যেকোন ভাবে খেলেই সেটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটা ভাইরাস, প্যথজেন ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ব্রাক্ষ্মী শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পুষ্টি উপাদানের উৎকর্ষতা বাড়ায়।
শরীরকে নিরোগ রাখতে ব্রাহ্মী অত্যন্ত কার্যকরী। যেমনঃ-
- ব্রাহ্মী স্মৃতিশক্তি বাড়ায়ঃ- মনের সাথে জড়িত বিভিন্ন অবস্থার নিরাময়ের ক্ষেত্রে এই ভেষজ খুবই কার্যকারী। স্মৃতিশক্তি, মনঃসংযোগের ঘাটতিজনিত সমস্যা দূর করে এটি। মস্তিষ্কের গ্লুটামেট ও গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড (জিএবিএ) রাসায়নিকের সামঞ্জস্য বজায় রেখে, এই শাক বুদ্ধিমত্তা তৈরি করে।
- অ্যালজাইমার রোগের লক্ষণ কমায়ঃ- ব্রাহ্মী পাতা অ্যালজাইমার রোগের উপসর্গ কমাতে সক্ষম। এর নিউরোন মস্তিষ্কের ক্ষতির জন্য দায়ী অ্যামলয়েড যৌগ দিয়ে তৈরি। ব্রাহ্মী পাতায় বিদ্যমান ভেতরের ব্যাকোসাইড নামক বায়োকেমিক্যাল, মস্তিষ্কের কোষসমূহ নিয়ন্ত্রণ করে ও মস্তিষ্কের টিস্যুকে উন্নত করে।
- গাঁটের ব্যথা কমায়ঃ ব্রাহ্মী পাতার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি গুণাবলীর পিঠে ব্যথা সহ গাঁটের ব্যথা, পেশীর যন্ত্রণা ও মাথাব্যথায় কার্যকরি প্রভাব রাখে।
- শ্বাস সংক্রান্ত উপকারিতাঃ ব্রাহ্মী পাতা চায়ের মধ্যে বা একইরকমের অন্যান্য পানীয়ের মধ্যে ভিজিয়ে খেলে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। আয়ুর্বেদা শাস্ত্রে ব্রঙ্কাইটিস, আটকে যাওয়া সাইনাস ও বুকে ঠাণ্ডা লাগার চিকিৎসায় ব্রাহ্মী ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এটি শ্বাসনালীর মধ্যের জমা শ্লেষ্মা ও কফ বের করে দেয়।
- দুশ্চিন্তা ও অবসাদ কমায়ঃ ব্রাহ্মী করটিসল নামক স্ট্রেস হরমোন এর মাত্রা কমায়। দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতার জন্য দায়ী হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ কম হয়।
- এসব ছাড়াও ব্রাহ্মী পাতার রয়েছে চুল মজবুত করার শক্তি।ব্রাহ্মী পাতায় আছে অ্যালকালয়েড যা প্রোটিন কাইনেসের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়।
- ব্রাহ্মী গুঁড়া ও আমলকি গুঁড়া সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মাথার তালুসহ চুলে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। মাসে ৩-৪ বার এই প্যাকের ব্যবহারে চুলপড়া কমে।
- নারকেল তেলের মধ্যে ব্রাহ্মী গুঁড়া ভিজিয়ে রেখে সেই তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবেই এবং চুল পড়াও রোধ করবে।